নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন্;
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জোরদার করার লক্ষে অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত বলছেন, বছরে পঞ্চান্ন হাজার কোটি টাকা পাচার করা অর্থ উদ্ধার করতে হবে।পরবর্তী সময়ে এ ধারা উত্তরোত্তর আরও জোরদার করতে হবে। এজন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। এ কমিশন গঠনের সুপারিশ করে তিনি বলেন, কমিশনের প্রধান কাজ হবে দুর্নীতি, কালো টাকা ও অর্থ পাচার বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড চালানো। পাশাপাশি গবেষণার ফলাফল প্রতি তিন মাস অন্তর দেশের সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে জানাতে হবে। একই সঙ্গে কমিশনের নিজস্ব ভেরিফায়েড ওয়েবসাইটে এ ফলাফলের রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। অর্থ পাচার প্রতিরোধে যুগান্তরকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন।
ড. বারকাত আরও বলেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধে যে স্বাধীন কমিশন গঠন করা হবে তা পরিচালনার জন্য নীতি-দর্শন হবে বাংলাদেশ সংবিধানের প্রাধান্য-৭(১) ও ৭(২) অনুচ্ছেদ আলোকে। যেহেতু কমিশন হবে স্বাধীন এজন্য কমিশন তার কাজের জন্য সরাসরি জনগণের কাছেই জবাবদিহি করবে, প্রয়োজনে জনগণের পক্ষে রাষ্ট্রের প্রধানের কাছে রিপোর্ট দেবে। এ কমিশনের সদস্য সংখ্যা হবে ৯ জন। এর মধ্যে একজন হবেন প্রধান কমিশনার (নারী বা পুরুষ)। বাকি ৮ জন কমিশনারের মধ্যে চারজন নারী ও চার পুরুষ কমিশনার থাকবেন।
বিদেশে অর্থ পাচার প্রসঙ্গে ড. বারকাত বলেন, বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয় তা নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো তথ্যনির্ভর বা নির্ভরযোগ্য গবেষণা নেই। তবে ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) রিপোর্ট (২০১৯) অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী অর্থ পাচারের পরিমাণ হবে বৈশ্বিক জিডিপির ৫ শতাংশের সমান
Leave a Reply